ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বিরোধী দলের নেতা অংশ নিতে পারবেন বলে রায় দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছে। এ রায়ের মধ্যে দিয়ে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দেশটির সরকারের দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র ক্ষমতা চর্চার অবসান ঘটলো।

নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় রায় দিতে গিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেন, প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়ে গঠিত প্যানেলের অনুমোদন জরুরি।

প্যানেলের অনুমোদনের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট তাদের নিয়োগ করবেন। সাংবিধানিক বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে আরও বলেছে, নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত। স্বচ্ছ নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এটি নিশ্চিত করতেই প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংবিধান-স্বীকৃত সংস্থা। ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিযুক্ত করেন। প্রয়োজনে একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সহকারী হিসেবেও নিয়োগ করা যেতে পারে।